প্রশাসন, পুলিশের অ্যাকশনে ধোপাজানে বন্ধ বালু লুট
- আপলোড সময় : ২৪-১০-২০২৪ ১২:৩৬:৪৭ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৪-১০-২০২৪ ১২:৩৬:৪৭ পূর্বাহ্ন
শহীদনূর আহমেদ ::
প্রশাসন ও পুলিশ কঠোর অ্যাকশনে যাওয়ার পর বন্ধ হয়েছে ইজারাবিহীন ধোপাজান-চলতি নদীর বালুমহালে লুটপাট। সম্প্রতি সংঘবদ্ধ বালু লুণ্ঠনকারী চক্রের বেপরোয়া লুটপাটে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে ধোপাজান-চলতি নদী।
বালু লুট বন্ধে নদীর উৎসমুখে বাঁশের বেড়া নির্মাণ, পুলিশের টহল জোরদার এবং যৌথবাহিনীর অভিযানের পরও বন্ধ হচ্ছিল না ধোপাজান নদীতে বালু লুট। সংঘবদ্ধ লুটকারীদের বাগে আনতে ব্যর্থ হতে থাকে পুলিশ ও প্রশাসনের নেয়া সকল কৌশল। পরে এ নিয়ে প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী নদীর উৎসমুখে অভিযান চালানোর পর গত দুই দিন ধরে স¤পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে বালু লুট।
এর আগে পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান মধ্যরাতে নদী পরিদর্শন করে বালু লুট বন্ধে পুলিশকে কঠোর নির্দেশনা দেন। বাড়ানো হয় পুলিশি তৎপরতা। শক্ত অবস্থানে যায় প্রশাসন ও সেনাবাহিনী। এর প্রেক্ষিতে যৌথবাহিনীর অভিযানে বালু লুটে জড়িত শতাধিক নৌকা জব্দ করা হয়। দুই দিন ধরে বালু লুট করে একটি নৌযানও বের হয়নি ধোপাজান-চলতি নদী থেকে।
পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে সীমিত জনবল থাকার পরও ধোপাজান-চলতি নদীতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করে আসছে। কিন্তু বালু লুটের সঙ্গে জড়িতরা সংঘবদ্ধ থাকায় অনেক সময় তাদের রোধ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে এই লুট বন্ধে পুলিশ জিরো টলারেন্স অবস্থান নিয়েছে। প্রশাসন ও সেনাবাহিনীও শক্ত অবস্থানে রয়েছে। ফলে সরকারি সম্পত্তি লুট বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। বালু লুট চক্র যতই শক্তিশালী ও সংঘবন্ধ হোক না কেন, তাদের কোনপ্রকার ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন পুলিশ সুপার।
এদিকে, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন ও স্থানীয়রা মনে করেন, ধোপাজান-চলতি নদীর বালু লুট ঠেকাতে পুলিশকে এতো বেশি সময় ব্যয় করতে হয়, যাতে করে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তাদের নিয়মিত কাজগুলোতে প্রভাব পড়ে। বালু মহালটি বৈধভাবে ইজারা বন্দোবস্ত দিলে - এই সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব। সেইসাথে সরকারও মোটা অংকের রাজস্ব পাবে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ